৮৬/৩
মিরপুর ৬ নম্বর সি ব্লকের ১৫ নম্বর রোড-এর ৮৬/৩ নম্বর বাসার পাঁচতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে বেশ আয়েশি ভাব নিয়ে সিগারেট খাচ্ছেন রফিক সাহেব। অনেক দিন পর বাসায় আজ একা থাকবেন রফিক সাহেব। স্ত্রী, মমতাজ বেগম ছেলেমেয়েদের দিয়ে ভাইয়ের বাসায় গিয়েছেন। ভাতিজির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। রফিক সাহেব কাল সকালে যাবেন বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। আজ রাত তিনি বাসা পাহারা দেবেন। বাসা পুরোপুরি ফাঁকা না পেলে সিগারেট খাওয়া হয় না তার। প্রায় মাসখানেক পর মুখে সিগারেট নিতে পেরে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে।
বেডরুমের ভেতর থেকে ভেসে আসছে দেয়াল ঘড়ির ঘণ্টার শব্দ। রফিক সাহেব গভীর মনোযোগ দিয়ে ঘণ্টার হিসেব করলেন। এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয়, দশ, এগারো। মনে মনে কিছুটা চমকে উঠলেন। রাত এগারোটা বাজে! অনেক রাত হয়েছে। তাইতো সামনের রাস্তায় মানুষের আনাগোনা একদমই কমে গিয়েছে। দুইএকটা গাড়ি আশেপাশের বাসার সামনে এসে হর্ন দিচ্ছে। এত বড় বাসায় একা থাকতে হবে আজ। কিছুটা ভয়ও করছে। মনে মনে ভাবলেন, না, আর দেরি না করে ঘুমিয়ে পড়া উচিত। সিগারেটটা যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে বারান্দার দরজা ভালোভাবে বন্ধ করে দিলেন। তারপর পুরো বাসা একবার ঘুরে ঘুরে দেখলেন।
ঘুমানোর সব আয়োজন শেষ করে ফেলেছেন রফিক সাহেব। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে। শুধু এক গ্লাস পানি খাওয়া বাকি। ডাইনিং টেবিলের দিকে এগোতেই কলিং বেল বেজে উঠল। গ্লাসে পানি ঢালতে ঢালতে আপনমনে বলে উঠলেন, এত রাতে কে আসতে পারে? যে-ই আসুক না কেন রাতের বেলা বাসার দরজা খোলার ব্যাপারে মমতাজ বেগমের মানা আছে। রফিক সাহেব পানি খেয়ে বেডরুমের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন। মমতাজ বেগমের নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। রফিক সাহেব দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, দরজা আমি কিছুতেই খুলছি না।
আবার কলিং বেলের শব্দ। রফিক সাহেব বিছানায় শুয়ে পড়েছেন। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে পরপর তিনবার কলিং বেলের শব্দ। রফিক সাহেব বিছানা ছেড়ে দরজার পাশে গেলেন। দেখলেন, হারুন সাহেব দাঁড়িয়ে। তার পাশের ফ্ল্যাটে থাকেন। নিশ্চয় কোনো বিপদে পড়েছেন। নাহলে এত রাতে কেন আসবেন?
মমতাজ বেগমের নিষেধ থাকলেও রফিক সাহেব দরজা খুলে দিলেন। কেন খুললেন রফিক সাহেব নিজেও জানেন না। হঠাৎ করেই তার মন পরিবর্তন হয়ে গেল। তিনি ভুলে গেলেন মমতাজ বেগমের কথা। ভুলে গেলেন তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
দরজা একটু ফাঁক হতেই একরকম ধাক্কা দিয়ে হারুন সাহেব ভেতরে ঢুকলেন। হাতে একটা কাপড়ের ব্যাগ। অনুমতির অপেক্ষা না করেই সোফায় গিয়ে বসে পড়লেন। রফিক সাহেব দরজা বন্ধ করে দিলেন। হারুন সাহেবের ওদিক থেকে একটা শব্দ ভেসে এলো। গিয়ে দেখলেন তাঁর হাত থেকে ব্যাগটা পড়ে গেছে। স্টেইনলেস স্টিলের একটা ছুরি মেঝেতে পড়ে আছে। একদম নতুন। চকচক করছে। হারুন সাহেব দ্রুততার সাথে ছুরিটাকে ব্যাগের ভেতরে ভরলেন। ব্যাগের ভেতর থেকে ভেসে আসা শব্দ শুনে রফিক সাহেব বুঝলেন, ব্যাগে এ রকম আরও কিছু ছুরি বা ধাতব পদার্থ আছে। মমতাজ বেগমের কথা মনে পড়ল তাঁর। জীবনে এই প্রথমবার মনে হলো, তার নিষেধ না শুনে বড়ো একটা ভুল করেছেন আজ। হারুন সাহেবের হাতের পেশীর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। ঐ হাতে তাঁকে জাপটে ধরলে তিনি নড়তে পারবেন কি না সন্দেহ আছে। নিজের ভাবনা দেখে নিজেই অবাক হলেন রফিক সাহেব। দূর! কী ভাবছেন এসব! ভদ্রলোক তাঁর পাশের বাসায় থাকেন। একদম সাধাসিধা একজন মানুষ। অনেকবার দেখা হয়েছে তাঁর সাথে। কথাও হয়েছে অল্পবিস্তর। তাঁকে খুনি টাইপের কিছু মনে হয়নি। রফিক সাহেবকে চিন্তায় আচ্ছন্ন দেখে হারুন সাহেব সামনের একটা সোফার দিকে তর্জনী তুলে ভারি গলায় বললেন, ‘বসেন।’
রফিক সাহেব বাধ্য ছাত্রের মতো নির্দেশিত সোফায় বসে পড়লেন। তাঁকে চুপ থাকতে দেখে হারুন সাহেব বললেন, অনেক দিন থেকেই এ রকম একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। দিনের বেলা আপনার সাথে অনেকবার কথা হয়েছে। কিন্তু রাতে হয়নি। রাতের বেলা আবার আপনাকে একা পাওয়া খুব কঠিন। কেউ না কেউ বাসায় থাকেই। আজ পেয়ে গেলাম। তাও আবার অমাবস্যার রাত। ভাগ্য বেশ ভালোই বলতে হবে।
‘আপনি কী করতে চান?’ সাহস করে বলে ফেললেন রফিক সাহেব যদিও অমাবস্যার রাত শব্দটা তাঁর ভেতর পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিয়েছে। দুনিয়ার সব ক্রিমিনাল এ রকম অমাবস্যার রাতের অপেক্ষায় থাকে।
‘প্রথমে গল্প করব। অনেক, অনেক গল্প। মজার গল্প। হাসির গল্প। দুজনে মিলে প্রাণ খুলে হাসব। তারপর শুরু হবে ভূতের গল্প। এরপর রহস্য গল্প। সবশেষে খুনের গল্প। ভয়ংকর খুনের গল্প। ধড় থেকে মাথা আলাদা করে কেটে ফেলা। হাড় থেকে মাংসগুলো আলাদা করে টুকরো টুকরো করে ফেলা। এ রকম গা শিউরে ওঠা খুনের গল্প করব। দুজনের প্রতিযোগিতা হবে, কে বেশি ভয়ংকর গল্প বলতে পারে? তারপর দেখি ঘটনা কোন দিকে যায়। সারারাত লেগে যেতে পারে। আপনার রাত জাগার অভ্যাস আছে তো?’
‘না, নেই। আমি সোফায় বসে থাকলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ব। তারপর নাক ডাকতে থাকব।’ রফিক সাহেবের কিছুটা আবেগহীনভাবেই কথাগুলো বললেন। তিনি বুঝে গেছেন, এই নরপিশাচের হাত থেকে আজ নিস্তার নেই তাঁর। ভয় পেলেই কী আর না পেলেই কী!
হারুন সাহেবের গলা আরও ভারি শোনাল, ‘আপনার নাক জায়গামতো থাকলে তো ডাকবেন! আর আমি এখানে বসে থাকতে কীভাবে আপনার ঘুম আসে তা পরে দেখা যাবে। আপাতত বিস্কিট, চানাচুর অথবা মুড়ি নিয়ে আসেন। খেতে খেতে গল্প করি। মোবাইল ফোন কোথায়?’
‘বেডরুমে।’
‘ওখানেই পড়ে থাক। ভুলেও ওদিকে যাওয়ার চিন্তা করবেন না।’
‘ঠিক আছে। যাব না।’ বলে রফিক সাহেব উঠে গিয়ে বিস্কিটের একটা বয়াম এনে হারুন সাহেবের সামনে রাখলেন। হারুন সাহেব বয়াম খুলে বিস্কিট মুখে দিয়ে বললেন, ‘এক্কেবারে নোনতা বিস্কিট! এই বয়াম নিয়ে যান। মিষ্টিটা আনেন। আপনি কি ডায়বেটিসের রোগী?’
‘না।’ কিছুটা বিরক্তি নিয়েই উত্তর দিলেন রফিক সাহেব।
‘তাহলে নোনতা বিস্কিট আনলেন কেন? মিষ্টি বিস্কিট আনেন। আর মুখের চেহারাটা একটু ভালো রাখেন। হাসিখুশি রাখেন। আপনার চেহারা পাল্টে দিতে আমার খুব একটা বেশি সময় লাগবে না।’
রফিক সাহেব আবারো উঠে যান। কিছুক্ষণ পরে আরেকটা বয়াম হাতে ফিরে আসেন। কাছে আসতেই হারুন সাহেব বয়ামটা একরকম ছিনিয়ে নিয়ে বিস্কিট খেতে শুরু করেন। ‘এবার ঠিক আছে। আপনিও নেন।’
‘আমি দাঁত ব্রাশ করেছি। এখন আর কিছু খাব না।’
হারুন সাহেব একদম কাছে চলে এলেন। ফিসফিস করে বললেন, ‘একটা মিষ্টি বিস্কিট খেয়ে মিষ্টিমুখ করে রাখেন। নইলে আফসোস করবেন। এই বাসায় আজ একটা খুন হবে। মার্ডার! বুঝতে পেরেছেন? কোল্ড ব্লাডেড মার্ডার!’
রফিক সাহেব এবার ঘাবড়ে গেলেন। এই শীতের রাতেও তাঁর মাথা থেকে কানের পাশ দিয়ে ঘাম ঝরতে লাগল। হারুন সাহেব আবার বললেন, ‘বাড়িওয়ালা লোকটাকে আপনার কেমন মনে হয়?’
এপাশ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে আবার বলতে লাগলেন, ‘বাড়িওয়ালা একটা ঠাণ্ডা মাথার খুনি। সিরিয়াল কিলার। নিজের বাসায় একের পর খুন করে যাচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না। এই বাসায় সে কতগুলো খুন করেছে আপনি জানেন?’
‘না, কিছুই জানি না।’ রফিক সাহেবের নির্লিপ্ত উত্তর।
‘কেন কিছু দিন আগেই তো বাসার দারোয়ান খুন হলো, আপনি জানেন না?’
‘বয়স্ক মানুষ। ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছিল।’
‘ঘুমের মধ্যেই যদি মারা গিয়ে থাকে তাহলে পোস্টমর্টেম করতে কী সমস্যা ছিল? কে পোস্টমর্টেম করতে দেয়নি জানেন? বাড়িওয়ালা! আমাদের বাড়িওয়ালা! তারপর সিঁড়ি মুছে দিত যে মেয়েটা তাকেও খুন করেছে বাড়িওয়ালা।’ হারুন সাহেব একদম মুখস্তের মতো বলে গেলেন।
‘সে তো ছয়তলার সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছিল।’
‘তাহলে পোস্টমর্টেম হলো না কেন? পুরাতন কথা থাক। এই সিরিয়াল কিলার-এর পরের টার্গেট কে জানেন? আমি! আমাকে সে খুন করবে!’
‘কী সব আবোলতাবোল বকছেন! আপনার মাথা ঠিক আছে তো!’
হারুন সাহেবের চেহারায় পরিবর্তন দেখা দিল। ‘আমি আবোলতাবোল বকছি! আমার মাথা ঠিক নাই! আমি পাগল!’ কথা বলতে বলতে হারুন সাহেব মেঝেতে বসে পড়েছেন। রফিক সাহেবের পায়ের কাছে। পায়ের গোড়ালির ঠিক ওপরে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে ধরেছেন।
‘ছুরি দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেবে নাকি?’ রফিক সাহেবের শিরদাঁড়া বেয়ে একটা হিমশীতল স্রোত নিচে নেমে গেল। দরজা খুলে দিয়ে কী ভুলটায় না করেছেন!
‘ভয় পাচ্ছেন নাকি?’ হারুন সাহেব রফিক সাহেবের চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটা করলেন।
রফিক সাহেব কিছু বলতে গেলেন। কোনো শব্দই বের হলো না। বের হবে কীভাবে? ভয়ে তার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে।
‘গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না! তাই না? কী যেন বলছিলাম আপনাকে?’
‘বাড়িওয়ালার কথা!’ রফিক সাহেব একটা ঢোক গিলে কোনোরকমে কথাটা বললেন।
‘ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে। বাড়িওয়ালা একটা ঠাণ্ডা মাথার খুনি। সিরিয়াল কিলার। এই বাসায় সে দুইটা খুন করেছে। আরেকটা খুন করতে চাইছে। ওর এবারের টার্গেট আমি।’
‘কীভাবে বুঝলেন?’
‘বাড়িওয়ালা প্রতিদিন আমার এপার্টমেন্টের পানির লাইনে বিষ মিশিয়ে দেয়। খুব অল্প পরিমাণে। স্লো-পয়জনিং করে আমাকে সে মেরে ফেলবে।’
‘পানির লাইন আবার আলাদা হয় নাকি?’
‘আবার বলেন কথাটা’, বেশ গম্ভীরস্বরে বলেন হারুন সাহেব।
রফিক সাহেব একটু থতমত গেয়ে বলে, ‘আপনার এপার্টমেন্টের জন্য কি পানির লাইন আলাদা?’
‘গত মাসে পানির লাইনে কাজ করেছে। আমার এপার্টমেন্টের জন্য আলাদা পানির লাইন দিয়েছে যাতে আমাকে স্লো-পয়জনিং করে মেরে ফেলতে পারে! এখন আমাকে বলেন যে, আপনি দেখেননি!’
‘দেখেছি।’
‘তাহলে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করেন কেন? পায়ের রগটা কি হারাতে চান?’ বলেই কাপড়ের ব্যাগ থেকে স্টেইনলেস স্টিলের ছুরিটা বের করে নিয়ে পায়ের রগের উপর চেপে ধরে হারুন সাহেব।
‘আমার ভুল হয়েছে। সরি! আর এমন প্রশ্ন করব না।’ রফিক সাহেবের কান্না চলে এসেছে।
‘শুধু এমন প্রশ্ন নয়। কোনো প্রশ্নই আমাকে করা যাবে না। শুধু শুনে যাবেন। আমি কিছু জানতে চাইলে উত্তর দেবেন। ব্যাস! এটুকু হলেই বেশি সময় বাঁচতে পারবেন।’
হঠাৎ বাসার কলিংবেল বেজে ওঠে। একবার। দুইবার। তিনবার।
রফিক সাহেব আল্লাহ্র কাছে মনে মনে প্রার্থনা করছেন দরজা খুলে তিনি যেন মমতাজ বেগমকে দেখতে পান। দরজা খুলবেন কি না এমন জিজ্ঞাসা চোখে নিয়ে তিনি হারুন সাহেবের দিকে তাকালেন। হারুন সাহেব ছুরিটা ব্যাগে ভরে মেঝে থেকে সোফায় উঠে বসেছেন। ইশারায় দরজার দিকে যেতে বললেন। রফিক সাহেব গেলেন। দেখলেন, ওপাশে হারুন সাহেবের স্ত্রী। ভয়ংকর এই অবস্থার মধ্যেও তাঁর হাসি পেল। মনে মনে ভাবলেন, একজনের জ্বালায় তিনি অস্থির হয়ে আছেন। এখন আবার আরেকজন এসেছে।
ভদ্রমহিলা আবার কলিংবেল বাজালেন। রফিক সাহেব এবার দেরি না করে দরজা খুলে দিলেন। তাঁকে দেখেই মহিলা বলল, আসসালামু আলাইকুম ভাই। ভালো আছেন?
‘জি, ভালো আছি!’ অনেক কষ্টে বললেন রফিক সাহেব।
‘আপনার বাসায় নাকি পানির পাইপে সমস্যা হয়েছে? আপনার ভাই সেই পাইপ ঠিক করতে এসেছিল। উনি আবার পানির পাইপ ঠিক করার এক্সপার্ট। মাঝে মাঝে এর ওর বাসায় পাইপ ঠিক করে দেয়। উনি কি এখনও কাজ করছেন?’
রফিক সাহেব পেছন থেকে হারুন সাহেবের গলা শুনতে পেলেন। ‘তুমি আবার এলে কেন? কাজ শেষ। বিস্কিট খাচ্ছিলাম দুজনে মিলে আর গল্প করছিলাম।’
‘কাজ শেষ হয়ে থাকলে বাসায় চলো। উনাকে ঘুমাতে দাও।’
রফিক সাহেব মনে মনে বললেন, ‘আর ঘুম! আপনার পরোপকারী, পাগল স্বামী আমাকে যে ভয় দেখিয়েছে! আজ কেন, আগামি সাত দিনে ঘুম ধরবে কি না সন্দেহ আছে।’
(প্রথম প্রকাশ- দৈনিক সংবাদ, ১১ জুলাই, ২০২৪)