শপিং মল
অন্তু কারও কথায় মানছে না। সে কিছুতেই বাসায় ফিরবে না এখন। সে আরও সময় থাকবে শপিং মলে। ছুটাছুটি করবে।
অনেক আগেই শপিং শেষ হয়েছে। কিন্তু অন্তুর জন্যই ফিরতে পারছে না কেউ। বাবা, মা, দুজনই বেশ ক্ষেপে আছে। কিন্তু এত লোকের সামনে তাকে বকাঝকাও করতে পারছে না।
বাবা তাকে বুঝিয়ে বলল, ‘আমাদের শপিং শেষ। আমাদের এখন বাসায় ফিরতে হবে।’
‘কিন্তু এখানে থাকতে আমার অনেক ভালো লাগছে। কত পরিষ্কার! আর কত জায়গা! দৌড়াতেও ভালো লাগছে! হাঁটতেও ভালো লাগছে!’
‘আমাদের বাসা তো অনেক পরিষ্কার।’
‘কিন্তু এতো বড় না।’
‘তোমাদের স্কুলও তো অনেক বড়। ওখানে তো তোমার মন টেকে না?’
‘বাবা, স্কুল বড় হলেও এতো সুন্দর না। স্কুলের মেঝে অপরিষ্কার। বেঞ্চগুলোতে ধুলোময়লা জমে থাকে। ওয়াশরুমগুলো ময়লা আর পচা গন্ধে ভরা। দম বন্ধ হয়ে আসে। এখানকার ওয়াশরুম দেখেছ? কত পরিষ্কার! মনে হয় সারাদিন বসে থাকি।’
বাবা চুপ হয়ে থাকে।
অন্তু আবার বলে, ‘তুমি কী স্কুলের মতো শপিং মলে বেতন দাও?’
‘না তো!’
‘ওরা এত টাকা বেতন নিয়েও একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে না? অপরিষ্কার আর নোংরা জায়গায় আমার কিছুতেই থাকতে মন চায় না বাবা। শপিং মলে স্কুল করা যায় না বাবা?’
বাবা বলে, ‘ঠিক আছে আরও কিছুক্ষণ থাকি এখানে।’
২৮ নভেম্বর ২০২২